ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


যশোরের শার্শায় চাষ হচ্ছে বেদানা


১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০৬

যশোরের শার্শায় চাষ হচ্ছে বেদানা। এক সময়ের আমদানি নির্ভর চাষ এখন দেশেও হচ্ছে,এমনই এক বেদানা চাষির নাম শামসু শেখ তার বাড়ি যশোরের বেনাপোল পৌর এলাকার রাজবাড়ি গ্রামে।

শামসু শেখ মুলত একজন নার্সারি ব্যবসায়ী। শত রকমের গাছের চারা বেচাকেনা করায় তার কাজ। এই পোশায় সূত্র ধরে চাষ করে বেদনার। চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে রাজবাড়ীর রাজভিটায় শুরু করেন বেদনার চাষ।বেদনা মুলতে ইরান ও ইরাকের ফল বর্তমানে এটি,তুরস্ক সিরিয়া,স্পেন,আফগান্তিস্তান,ভারত,পাকিস্তান,সৌদিআরব,ফিলিস্তিন,
প্রভুতি দেশে চাষ হচ্ছে।বাংলাদেশে এখন আনেক জায়গায় চাষ হচ্ছে। অনেকে বেদানা চাষ করে নিজের ভাগ্য ফিরিয়েছেন।বেদনার বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা যায়।

চারা গাছের তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। ফুল আসার পর পুষ্টি হওয়া পযর্ন্ত সময় লাগে ছয় মাস,একটি গাছ ৩০ বছর পযর্ন্ত ফল দেয়। প্রথম ফল ধরার সময় প্রতিটি গাছে ২০-২৫ টি ফল হয়।বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফলন বাড়তে থাকে।দশ বছর হলে একটি গাছে ১০০থেকে১৫০ ফল ধরে।তবে ফলে পরিচর্য করলে গাছ প্রতি ২০০থেকে ২৫০টি ফল পাওয়া যায়।

বেদানা চাষি রমিজ উদ্দিন জানান, ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে বেদনার চাষ শুরু করেন। চার বছর লাগনো গাছে ফুল-ফল আসা শুরু করেছে,কিছু কিছু ফল বিক্রি শুরু করা হচ্ছে।বর্তমানে প্রচুর পরিমান বেদনার কলম তৈরি করা হচ্ছে।প্রতিটি কলম ১০০থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।এথেকে খরচের একটি বড় অংশ উঠে আসছে। যশোরের ভেষজ উন্নায়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু হাফি জানান,বেদানা আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী,চিকিৎসার পাথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিটটেলিট এসিড, পেপরেটারিন, মিথাইল, পেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল থাকায় বেদানা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়।কবিরাজ মতে বেদানা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের শ্রেষ্টতম হিতকর ফল।বেদনা গাছের শোকড়,ছাল,ও খোসা দিয়ে ,আমাশয় ও উদারাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়।কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রেণে সরাসরি ভ’মিকা রাখে বেদনায়।

এমএ