ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরলেন গেইল


১২ জানুয়ারী ২০১৯ ০৪:৫৩

মন্থর শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। দেখেশুনে খেলছিলেন ক্রিস গেইল। এতেই যত বিপত্তি। শুভাগত হোমের দ্বিতীয় বলেই খেই হারিয়েছিলেন। বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান।


লাইফ পেয়েই চওড়া হন ক্যারিবীয় দানব। পরের বলই মারেন তুলে। বল উড়ে চলে যাচ্ছিল লং অফের ওপর দিয়ে। একেবারে সীমানার ওপরে তা তালুবন্দি করার চেষ্টা করেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ পর্যন্ত না পেরে অসামান্য দক্ষতায় বল থ্রো করেন বাউন্ডারির মধ্যে। ক্ষীপ্রগতিতে দৌড়ে এসে সেটি লুফে নেন কাইরন পোলার্ড। পরে বারবার রিপ্লে দেখা হয় ক্যাচটি। শেষ পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে ফেরেন গেইল।

সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদী মারুফ। এতে চাপে পড়ে রংপুর। রাইলি রুশো ও মোহাম্মদ মিথুন সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে শুরুটা শুভ হয়নি ঢাকার। সূচনালগ্নেই অশুভ ভূত ঘাড়ে চেপে বসে তাদের। অযাচিত শট খেলে আসেন আর যান টপঅর্ডাররা। ইনিংসের ভূমিকাতেই সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইনফর্ম হযরতউল্লাহ জাজাই। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে পয়েন্টে মাশরাফির বলে বোপারাকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সুনিল নারাইন।


এর রেশ না কাটতেই গাজীর দ্বিতীয় শিকার বনেন রনি তালুকদার। তবে এতে বোলারের যতটা না কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি ফিল্ডারের। বেনি হাওয়েলের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। পরে মিজানুর রহমানকে নিয়ে উদ্ভূত চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিতে পারেননি মিজানুর। বেনি হাওয়েলের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি।

৬৪ রানের মধ্যে জাজাই, নারাইন, রনি, মিজানুরকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। কাইরন পোলার্ডকে নিয়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। এক্ষেত্রে সফল হন এ জুটি। রংপুর বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান পোলার্ড। রীতিমতো তুলোধোনা করেন তিনি। পথিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন ক্যারিবীয় হিটার। অবশ্য ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। মাত্র ২৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করেন এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

একে একে সবাই ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাকিব। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। তাতে দুরন্ত গতিতে ছোটে ঢাকা। হঠাৎই থেমে যান অধিনায়ক। ফরহাদ রেজাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ফিনিশ হন তিনি। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৪ চারে ৩৬ রান করেন সাকিব। খানিক পর থামে রাসেল টর্নেডো। ১৩ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। এর জের না কাটতেই শফিউলের শিকার হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন শুভাগত হোম ও নুরুল হাসান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে ঢাকা। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শফিউল। ২টি করে উইকেট নেন হাওয়েল ও গাজী।