ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


কায়েসের সেঞ্চুরি, ছেলেকে উৎসর্গ


২১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৪৩

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলার নাম ইমরুল কায়েস। ভাল করেও দলে নিজরে স্থান পাকা করতে পারেনি তিনি। কিন্তু দলের বিপদে সব সময়ই নিজেকে প্রমাণ দিয়েছেন। এশিয়া কাপে নিজের ৭২ রানে দলেকে বাঁচানো সাথে নির্বাচকদের আবার কড়া জবাব দেন।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে একাই দলকে নিয়ে যাচ্ছেন সম্মানজনক স্কোরের দিকে। এর আগে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল কায়েস। কায়েসের সেঞ্চুরিতে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে বাংলাদেশ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন সাইফুদ্দিন।

১৪০টি বল মোকাবেলা করেছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। পুরো ইনিংসের প্রায় অর্ধেক (১০বল কম)। এই ১৪০ বল মোকাবেলা করে ইমরুলের ব্যাটে উঠে এসেছে ১৪৪ রান। এর আগে দুটি সেঞ্চুরি করলেও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ১১২ রানের। এবার সেটা তো ছাড়িয়ে গেলেনই, নিজেকে নিয়ে গেলেন আরও অনেক উচ্চতায়।

অসাধারণ এক সেঞ্চুরিই নয় শুধু, ইমরুল কায়েস বাংলাদেশকে নিয়ে গেলেন চ্যালেঞ্জিং একটি জায়গায়। যেখানে ২০০ রানও হওয়ার কথা ছিল না, সেখানে দলীয় রান পার করে দিলেন ২৭০। অবশেষে ১৪০ বলে ১৪৪ রান করে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। কাইল জার্ভিসের বলে পিটার মুরের হাতে একেবারে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দিয়ে।এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৪৯.২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৯।

৩ উইকেটে ১৩৭ থেকে ৬ উইকেটে ১৩৯। মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের সাজানো বাগান এলোমেলো করে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস। নিদারুণ বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা টাইগাররা। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছিল একটি জুটির। সেই কাজটিই করে দিলেন ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ইমরুল কায়েস ওপেনিং করতে নেমে অসাধারণ খেলা উপহার দিলেন। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে অসাধারণ একটি জুটি গড়লেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দু’জন মিলে গড়েন ১২৭ রানের অসাধারণ এক জুটি।

এদিকে, ইনজুরির কারণে তামিম না থাকায় তার বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। ইমরুলকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে ছিলেন এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা লিটন দাস। তবে আজকের ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে মাত্র ৪ রান সাজঘরে ফেরত যান লিটন।

অভিষেক ম্যাচে কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন ফজলে রাব্বি। টেণ্ডাই চাতারার উঁচু হয়ে আসা বলটি রাব্বির হাতে লেগে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। রাব্বি ৪ বল খেলার সুযোগ পান মাত্র।

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। লিটন দাস বা ফজলে রাব্বি কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। লিটনের সাথে ওপেনিং করতে নেমে ইমরুল কায়েস শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। অন্যদের নামের পাশে রান ছিল না বলার মত। একের পর এক সাজ ঘরে ফিরছিল ব্যটসম্যানেরা।

বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বি, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাজমুল ইসলাম অপু ও মুস্তাফিজুর রহমান।

 

এমএ