ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

হাসপাতালে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৯

ফাইল ফটো

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ৩ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে গেছেন। শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শহিদুল আলম বলেছেন, প্রিয় বন্ধুরা, কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এটাই আমার প্রথম পোস্ট। এখন চিকিৎসার জন্য আমি হাসাপতালে এবং এখানে আরও কিছু দিন থাকতে হবে আমাকে। চিকিৎসকরা সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন (যদিও ততটা ভয়ানক কিছু নয়)। আমি আবার লিখব সবকিছু ঠিক হওয়ার পর। সারাবিশ্বের আপনাদের সবার কাছে আমি ঋণী। আশ্চর্যজনকভাবে সমর্থন ও সহানুভূতি (আমার প্রতি) প্রকাশের জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের প্রচেষ্টা আমাকে শুধু ‍মুক্তই করেনি বরং সেটা ছিল কারাগার ভেদ করা এক আলো, যেখানে আমি আটকে ছিলাম।
এটা বেশ উৎসাহজনক যে, বস্তুগতভাবে প্রতিষ্ঠান খুব শক্তিশালী হলেও আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি। জনগণের শক্তি!

আবারো সবাইকে ধন্যবাদ!
ধন্যবাদান্তে
শহিদুল
এরপর তিনি আরও বলেন-
‘এখনই শেষ নয়। মাথার ওপর মামলাটি এখনো ঝুলছে। আরো অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেছেন, এটি আমার একমাত্র ফেসবুক প্রোফাইল (যার সঙ্গে অনেক পেজের লিংক রয়েছে)। আমি আর কোনো প্রোফাইল তৈরি করিনি, সুতরাং আমার নামে অন্য কোনো প্রোফাইল চালালে তার দায়-দায়িত্ব আমি নেব না।
শহিদুল আলম আরো বলেছেন, এখানে আরো উল্লেখ্য যে, আমি আমার জিমেইল অ্যাকাউন্ট shahidul1@gmail.com আর ব্যবহার করছি না। আমার বৈধ অফিসিয়ার ইমেইল ঠিকানা হলো-shahidul@drik.net।
৫ আগস্টের পর কোনো মেইল পাঠালে তা পুনরায় shahidul@drik.net ইমেইলে পাঠাতে অনুরোধ করছি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গত ৩ ও ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার রাজধানীর বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা করে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠায়।