ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


নারী আসনে আ.লীগের প্রার্থী হতে লাগবে যেসব গুণ


১৬ জানুয়ারী ২০১৯ ০০:৩৪

আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। অধিবেশনকে সামনে রেখে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য আবেদনপত্র বিতরণ করা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

হিসেব অনুযায়ী সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্যের বিপরীতে একটি নারী আসন পাওয়া যায়। সে হিসাব অনুযায়ী ২৫৭ আসনের বিপরীতে ৪৩টি আসন পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন আগ্রহীরা।

একাদশ জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত করতে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের মনোনীত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাই বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি দলীয় আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার পর সেখান থেকেই যাচাই-বাছাই করেই ৪৩টি আসনে পার্থী মনোনীত করা হবে।

সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ও জেলায় পর্যায়ে দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জনপ্রিয় নারীদের অগ্রাধীকার দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সংস্থার মাধ্যমে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে। এক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত, এক-এগারো পরবর্তী সময়ে ভূমিকা, বিভিন্ন সময়ে দলের জন্য ত্যাগ, বিভিন্ন সেক্টরে অবদান আছে ও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এই সব গুণাবলির পাশাপাশি জাতীয় সংসদে কথা বলতে পারবেন এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে।

ইতোমধ্যেই মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা গণভবনে গিয়ে দেখা করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদাণ করবেন বলে জানান নেতারা।

সূত্রে আরও জানা গেছে, এবারের মন্ত্রিসভার মতোই চমক থাকতে পারে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনেও। নবম বা দশম সংসদে থাকা সংরক্ষিত নারী আসনের অধিকাংশ সদস্যই থাকছেন না বলেও সূত্র জানায়। তবে দশম সংসদে থাকা ৫ থেকে ৭ জন একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন। বাকি আসনগুলোতে দেখা যেতে পারে একেবারেই নতুন মুখ।

জানা গেছে, পুরনোদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, আওয়ামী লীগ নেত্রী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, মাহজাবিন খালেদ প্রমুখ।

সরাসরি আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি এমনদের মাঝে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সায়েরা মহসীন, সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়িকা সারাহ্ বেগম কবরী। পাশাপাশি নতুন মুখ হিসেবে চমক থাকছে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার। পাশাপাশি নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

আলোচনায় রয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লোপা তালুকদার। মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে শতাধিক।

প্রসঙ্গত, এলাকায় প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, যে কর্মকাণ্ড করার জন্য মনোনয়ন চেয়েছেন সে কর্মকাণ্ড করার মতো দক্ষতা-সক্ষমতা এইগুলো দেখা হবে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য অঙ্গন থেকেও মনোনয়ন বিবেচনা করা হবে।

/এটিএম


শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, মনোনয়ন, সংরক্ষিত নারী আসন