ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


খালেদার আসনে ড. কামাল


২১ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩৮

ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে দিচ্ছেন সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন। কামালের নেতৃত্বে গৃহীত পদক্ষেপগুলো থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, যতই তারা ৭ দফা বা ১১ দফার কথা বলুক, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়াই এ মুহূর্তে তাদের মূল লক্ষ্য।

সূত্র বলছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে জাতীয় নির্বাচনে। নির্বাচনে অভিন্ন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল। এছাড়া গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলছে, তারা সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না এবং অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। নির্বাচনে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আর অভিন্ন প্রতীক হিসেবে বাছাই করা হয়েছে ধানের শীষ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধরেই নিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনটা ধরে নিয়েই তারা ড. কামাল হোসেনকে জোটের আহ্বায়ক করেছে। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিন্ন প্রতীকে অংশ নেওয়া এই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

উল্লেখ্য, বগুড়া ও ফেনীসহ খালেদা জিয়া প্রত্যেক নির্বাচনে ৫টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। খালেদা জিয়ার এই আসনগুলো নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ঝুঁকি কম হওয়ায় ফেনী অথবা বগুড়ার দুটি আসন থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতা যাঁদের নির্বাচনে জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁদেরকে খালেদা জিয়ার অন্যান্য আসনগুলো থেকে দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি।

অর্থ্যাৎ বিভিন্ন দাবিদাওয়া উত্থাপন করলেও প্রকৃতপক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বেশ জোরেসোরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে নবগঠিত এই জোটটি।

এমএ