ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১


এখনও অনেক ‘খেলা’ বাকি


২০ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৪০

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে আছেন সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন। কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এখনও অনেক খেলা বাকি আছে বলে মনে করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

গত ১৩ অক্টোবর গঠন করা ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যের কথা জানায়। দাবির মধ্যে আছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ইত্যাদি।

ঐক্যফ্রন্টের এসব দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যে কথা শোনা যাচ্ছে তা যদি সঠিক হয়, তাহলে এখানে নাশকতা ও সহিংসতার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদি এটাই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তাদের অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক খেলা, অনেক নাশকতা, সহিংসতার পরিকল্পনা আছে, এটা নিয়ে যে কথা আছে সেটাকে উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ রাখে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বুঝি এটা সাম্প্রদায়িক একটা জোট। একটা অশুভ শক্তি এখানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে ঠেকানো, শেখ হাসিনাকে ঠেকানো। এরা ক্ষমতায় যাওয়ার চেয়ে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করার অনুমতি না পেয়ে পরদিন সেখানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। যদিও এখনও অনুমতি তারা পায়নি।

এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে তারা যেতে পারে। নির্বাচনের আগে সিলেটের মাজার জিয়ারত করার একটা ট্র্যাডিশন রয়েছে। মাজার জিয়ারতের নামে সেখানে যদি কোনো প্রকার নাশকতা, কোনো প্রকার সহিংসতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা সেখানে যায়, তাহলে উদ্ভুত পরিস্থিতি বলে দেবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঐ রকম পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করবে।’

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন কাদের। এই জোট গঠনের পর দুই শরিকের বিএনপি ছাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা গত দশ বছরে আন্দোলন করতে পারে নাই, তারা শুরুর আগেই দুই উইকেট পড়ে গেছে। আরও কত উইকেট পড়বে তা সময় বলে দেবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুনন্নাহায লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুনন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণ বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ডঃ শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এমএ