জামায়াত নিয়ে মুখোমুখি কামাল-ফখরুল
জামায়াতকে বাদ দেয়া নিয়ে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গনফোরামের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। সোমবার সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াতকে বাদ দেয়ার বিষয়ে দেয়া বক্তব্য ড. কামাল হোসেনের ব্যাক্তিগত বক্তব্য । এটা তার ও গনফোরামের বক্তব্য। ঐক্যফ্রন্টে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এর আগে গত শনিবার আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাহী কমিটির সভাশেষে জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি করার আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে নিয়ে কোনো দিন রাজনীতি করিনি, করবও না। জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে, এ কথা এখন বলাই যায়।’
বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে চাপ দেওয়া হবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমিতো মনে করি জামায়াত ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া যেতে পারে।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াত নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়, অবিলম্বে এ বিষয়ে সুরাহা চাই।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত নিয়ে কামাল হোসেনের বক্তব্য গণফোরামের। এটি ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য নয়।
তিনি বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে এখনও কোনো আলাপ-আলোচনা করিনি।
জামায়াত ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্টে ফাটল ধরবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্টে কোনো ফাটল ধরার সুযোগ নেই। অটুট থাকবে। কারণ আমরা অভিন্ন দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলন করছি।
জামায়াতের থাকা ও না থাকা নিয়ে কামাল ও ফখরুলের এই বক্তব্যটি সাংঘার্ষিক বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ অক্টোবর সরকারবিরোধী জোট হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। শুরু থেকে অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এই জোটের অন্যতম সংগঠক হিসেবে থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাকে ছাড়াই বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডির সমন্বয়ে এ জোট গঠিত হয়।