ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


জুলহাস-তনয়ের হত্যাকারী আসাদ সিটিটিসি'র হাতে আটক


১৭ জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:১০

চাঞ্চল্যকর  জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আসাদুল্লাহর (২৫) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।  এর আগে বুধবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) মনিরুল ইসলাম আসাদুল্লাহকে আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য আসাদুল্লাহর দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ইন্সপেক্টর মনিরুল। পরে শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী থেকে আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, আটক  আসাদুল্লাহ এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

জুলহাস ও তনয় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল আসাদুল্লাহ। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রশিক্ষক ছিল সে। সংগঠনে ফখরুল,  ফয়সাল,  জাকির,  সাদিকসহ একাধিক নামে পরিচিত সে। পুলিশ আরও জানায়, এছাড়াও ২০১৬ সালে উত্তর বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সে জড়িত। আনসারুল্লাহ টিমে যোগদানের আগে তিনি যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্র-শিবিরের সাথী ছিল আসাদুল্লাহ। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর ২২ জুলাই এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের নামে আনসার আল ইসলামের (এবিটি) একজন শুরা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস এলাকার বাসায় ঢুকে জুলহাস ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর চলে যাওয়ার সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির’ ও ‘আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খুনিরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ জন। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি ‘স্লিপার সেল’ এই হত্যাকান্ডে জড়িত। তারা ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্লগার, লেখক, প্রকাাশক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেট করে হত্যা করে আসছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে তাদের কার্যক্রম চালাতো। জুলহাস-তনয় হত্যাকান্ডের পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) টুইটার বার্তায় এর দায় স্বীকার করেছে।