ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ইবির ‘বি’ ইউনিটের ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা


১৫ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:৩৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের ব্যাপক হারে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ফল প্রকাশের আগেই পাশ মার্ক কমিয়ে লিখিত পরীক্ষায় ৩ এবং এমসিকিউ এ ১৮ মোট একুশেই পাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিটের মিল না থাকলেও পরীক্ষা বাতিল না করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং আইন ও শরিয়াহ অনুষদের সম্মিলিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় ভতিচ্ছুরা সস্তিতে পরীক্ষা দিতে পারেনি। শর্ত অনুযায়ী ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৪০ শতাংশের বেশি নম্বর পেতে হবে। এ অনুযায়ী পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩২ পেতে হবে। এর মধ্যে পাশ করতে হলে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৬০ নম্বরের মধ্যে ২৮ ও লিখিত পরীক্ষায় ২০ নম্বরের মধ্যে ৭ পেতে হবে।

কিন্তু ‘বি’ ইউনিটের লিখিত পরীক্ষায় খাতা মুল্যায়নের করতে গিয়ে শিক্ষরা লক্ষ করেন আসনের সমান ভতিচ্ছু পাশ করতে পারেনি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে ফলাফল বিপর্যয় ঠেকাতে ফল প্রকাশের আগেই পাশ কমিয়ে লিখিত পরীক্ষায় ৩ এবং এমসিকিউ এ ১৮ ই পাশ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের আন্তর্ভূক্ত একাধিক শিক্ষাক জানান, তাদের মুল্যায়ন করতে দেওয়া ১৬০টি খাতার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় তিন থেকে চার জন শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। পরে বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়।

এদিকে ব্যাবসায় অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিটের মিল না থাকলেও পরীক্ষা বাতিল না করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে অনুষদীয় সভায় পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করে। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সুপারিশ আমলে না নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটির সুপারিশে পরীক্ষা বহাল রেখে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম অব্দুল লতিফ জানান, ব্যাবষায় অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি অংশ বাদ দিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা এবং হিসাববিজ্ঞান অংশ দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। যে পদ্ধতিতে যে শিক্ষার্থী বেশি নম্বর পাবে তকে ওই ফল দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আশকারী বলেন, ‘বি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র একটু বেশি কঠিন হয়েছে। ফলে আসন সংখ্যক শিক্ষার্থী না পাওয়ায় আমরা কিছুটা শর্ত শিথিল করেছি। যাতে করে কোনো আসন ফাকা না থাকে।

সি ইউনিটের ব্যাপারে তিনি বলেন, অভিজ্ঞ তদন্ত কমিটি নিশ্চত করেছে এইভাবে খাতা মূল্যায়ন করলে শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর সুবিচার করা সম্ভব হবে। তাই ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পরীক্ষায় ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এমএ