ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে দেখি ওসির সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত স্ত্রী, এরপর


২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:০৪

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ কে এম এনামূল কবীরের পরকীয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াছিন শেখ (৩৫ ) নামে এক যুবক। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইয়াছিন শেখ ওসির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

তিনি মূল বক্তব্যে বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি একেএম এনামুল কবীর পরকীয়া করে আসছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমি ঢাকা যাই। ঢাকা থেকে ওই দিন গভীর রাতে ফিরে আসি। ওসি এনামুল কবীর টুঙ্গিপাড়া গ্রামে আমার বাড়ির শয়ন কক্ষে ঢুকে স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

এ সময় আমি চিৎকার দিলে ওসি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর আমার শ্যালক, শাশুড়ি ঘর থেকে বের হয়ে আমাকে খুঁটির সাথে বেঁধে ফেলে। আমাকে পাগল আখ্যা দিয়ে তারা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, ওসি আমাকে এ ঘটনার পর হয়রানী করে চলেছে। তিনি আমাকে মাদক মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাকে বাগেরহাট থানায় মাদক ও ব্যাংক চেক অবমাননা মামলার আসামি করা হয়েছে।

ইয়াছিন আরো বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে ওসির পরকীয়া নিয়ে আমি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। গোপালগঞ্জের এএসপি (সার্কেল সদর) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করছেন। আমার সংসারের সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ কে এম এনামূল কবীর পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ইয়াছিন ও তার স্ত্রীকে চিনি না। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। একটি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ইয়াছিনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ কাজ করাচ্ছে। আমি তাকে কখনো মামলা দেয়ার হুমকি দেইনি। আমার জানামতে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তবে চাকরি দেয়ার কথা বলে ইয়াছিন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে বলে শুনেছি।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জের এএসপি (সার্কেল সদর) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, ইয়াছিন পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার আমাকে ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।

অভিযোগে ইয়াছিন তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও গাজীপুরের এক হুজুরের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছে। তাদের মোবাইলের কললিস্ট আনা হয়েছে। এসব মোবাইল থেকে ওসির ফোনে কেউ কোন ফোন করেনি। ফলে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। ইয়াছিনের কাছে আরো কললিস্ট আছে বলে দাবি করেছে। গত রোববার এটি আমার কাছে জমা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি এখনো জমা দেননি। এটি জমা দিলে আমার বিষয়টি আমরা আরো খতিয়ে দেখবো।

কেআই